নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় পাপিয়া নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড এর নূর নগর এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত পাপিয়া ঝিনাইদহ সদর থানার চরকুল গ্রামের আমির আলীর মেয়ে বলে জানা যায়। স্থানীয় একাধিক সুত্র জানান, গত তিন বছর আগে পূর্বের স্বামী ও দুই সন্তান রেখে পাপিয়ার (৩২) বিয়ে হয় নূর নগর গ্রামের মৃত ওবাইদুলের বড় ছেলে নজরুলের সাথে। নজরুল আড়ানী স্টেশন বাজারের একজন ডেকোরেটর ও ডিস ব্যবসায়ী। মৃত পাপিয়া তার ২য় স্ত্রী। বিবাহের পর থেকে তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ চলছিল। এই কলহের জের ধরে বৃহস্প্রতিবার সকাল ৯টার দিকে তাদের স্বয়ন কক্ষের পাশের ঘর থেকে পাপিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে পাপিয়া নূরনগর গ্রামের সুজার স্ত্রী ছিলেন। তিন বছর আগে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে পাপিয়াকে বিয়ে করেন নজরুল ইসলাম। সুজার পক্ষে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার। মেয়ে সিনথিয়া (১২) ছেলে সামির (১০) কে রেখে পালিয়ে বিয়ে করেন তিনি। এদিকে নজরুল ইসলাম এর আগের স্ত্রী’র রয়েছে ৩ সন্তান। ইতি (২০), বর্ষা (১৮) ও নাহিদ (২৪)। তাদের কে রেখে পাপিয়াকে বিয়ে করেন নজরুল। নজরুল পাপিয়ার দাম্পত্ত জীবনে প্রথম গর্ভধারণ করে পাপিয়া। কিন্তু স্বামী নজরুলের অত্যাচার নির্যাতনে গর্ভপাত ঘটে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় পাপিয়া বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলাও দায়ের করে ছিলেন। পরে সেই মামলার আপোষ হলেও রেহাই পায়নি পাপিয়া। প্রতিনিয়ত চলতে থাকে তার উপর অত্যাচার নির্যাতন। অবশেষে সকালে ৪ মাসের শিশুর জননী পাপিয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেল ঘরে। খুব সকালে কাজের ছুতোয় কোলের শিশু নাফিসা কে পাশের বাড়িতে রেখে বাড়িতে আসেন পাপিয়া। তার পর সকাল ৯ টার দিকে নজরুল পাপিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখে এলাকাবাসী কে জানায়। গ্রামবাসি খবর দেয় থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আব্দুল করিম জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নজরুল পলাতক রয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা দিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামকে) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।